প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ

তারুণ্য ভিত্তিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট, হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম- সিইএইচআরডিএফ কক্সবাজার মেট্রোপলিটন কাউন্সিল এলাকায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে র্যালি ও সমাবেশ এর আয়োজন করা হয়েছে।

উক্ত মানববন্ধনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইএইচআরডিএফ এর প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া। প্রোগ্রামটি সমন্বয় করেন রুহুল আমিন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন এক্টিং-কোঅর্ডিনেটর (স্পেশাল) জিহাদুল ইসলাম ।

আরও উপস্থিত ছিলেন সিইএইচআরডিএফ ডিভিশনাল দায়িত্বশীল সহকারী প্রধান লিডার (এলডিএস) আবদুল মান্নান রানা,সহকারী প্রধান সংঘঠক(ওডিএস)রেজাউল করিম, এক্টিং কো-অর্ডিনেটর(ন্যাশনাল)রেজাউল হায়াত রেজা,ফোকাল অর্গানাইজার (নেতৃত্ব) রমজান আলি রাজা,কমিনিউটি সচিব(টেকনিক্যাল)মোঃ ইউসুফ উদ্দিন ।

সংগঠন দায়িত্বশীলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাইট গার্লস টেকনাফ শাখা কো-অর্ডিনেটর হুমায়রা খাতুন, রাইট গার্লস কক্সবাজার ইস্ট সিটি শাখা  কোঅর্ডিনেটর শারাবান তাহুরা,সেক্রেটারি মর্জিয়া,নির্বাহী সদস্য মেহের জেমী, সদস্য তামিমা হোছাইন,মেট্রোপলিটন ইয়ুথ কাউন্সিল কোঅর্ডিনেটর নাজমুল হুদা জিসান,সদস্য হাবিব,আকিব  প্রমুখ।

এক্টিভিস্টদে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র এক্টিভিস্ট মনিরুল ইসলাম মনির, সাইমুন, আরিফ খান জয়, মোঃরাজু, মোঃআরিফ,মোঃমামুন, মোঃ সায়েদ,মো. ইলিয়াস আব্দুল গফুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এতে স্বাগত কথায় রুহুল আমিন বলেন বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের নানা প্রান্তে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার একটি জ্বলন্ত উদাহরন হচ্ছে বর্তমানে আমাদের দেশ সহ বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত তাপমাত্রা পড়ছে,মরুভূমির দেশগুলোতে অতিরিক্ত বৃষ্টি,বজ্রপাত, বন্য ইত্যাদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ হচ্ছে,ইউরোপের দেশ গুলোতে দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে,চর্ম রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে পানির সংকট দেখা দিয়েছে।তাই আমাদের এই সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

এতে সভাপতির বক্তব্যে ইলিয়াছ মিয়া বলেন কপ ২৯ সম্মেলন আজারভাইজানের রাজধানীর বাকুতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।সেই সম্মেলনের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বাংলাদেশের জলবায়ু ন্যায্যতা জন্য আজকের এই সমাবেশ। আপনারা জানেন জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে বর্তমান সময়ে চলমান বড় সংকট। জলবায়ু পরিবর্তন  বিশেষজ্ঞদের ধারণার বাইরে পরিবর্তিত হচ্ছে যার ফলে বিশ্বের নানা জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ সংগঠিত হচ্ছে এবং অদূরভবিষ্যতে এর প্রভাব আরও ভয়াবহ হবে। এই পরিবর্তন এর কারণে আমাদের জেনারেশন এবং তার পরবর্তী জেনারেশন নানা সমস্যা ও সংকটে পতিত হবে। আমরা কপ২৯ সম্মেলনে ফসিল ফুয়েল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানায়, কার্বন নিঃসরণ শুণ্যে নামিয়ে আনা,সবুজ শক্তিতে বিনিয়োগ এবং জলবায়ু তহবিল উত্তোলন ও সচ্ছতার সহিত ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোতে তহবিল বরাদ্দের আহ্বান জানায়। সেই সাথে বাংলাদেশের তরুণদের এই সংকট থেকে উত্তরনের জন্য তরুণদের সামষ্টিক ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

আব্দুল মান্নান রানা বলেন যেভাবে শিল্পায়ন হচ্ছে, বনভূমি উজাড় করা হচ্ছে, প্যারাবন ধ্বংস করা হচ্ছে, পাহাড় কাটা হচ্ছে তাতে করে পৃথিবীর উষ্ণায়ন আরো দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ যেহেতু সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় মাঝামাঝি  অবস্থানে আছে তাই বাংলাদশের জলবায়ু কর্মীরা জলবায়ু পরিবর্তন এর কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হবে তা পুষিয়ে নেয়া, কমিয়ে আনা, এবং জলবায়ুর সাথে খাপ-খাওয়ানোর জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার দরকার।সেই ন্যায্যতার জন্য সিইএইচআরডিএফ এর আন্দোলন।

রমজান আলি রাজা বলেন জলবায়ুর এমন অকল্পনীয় পরিবর্তনের জন্য উন্নত বিশ্বের দেশগুলো দায়ী। সেই দেশ গুলো প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য একটি ফান্ড গঠনে  জন্য প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়েছিল এবং ২০২৫ সালের মধ্যে সেই ফান্ডে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জমা করার কথা। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় সেই রাষ্ট্র গুলো তাদের কথা পূরণ করছে না।

মহেশখালীর তরুণ এক্টিভিস্ট আরিফ খান জয় বলেন আমাদের মহেশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ করা হয়েছে, নির্বিচারে পাহাড় কাটা হচ্ছে, জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে,প্যারাবন ধ্বংস করা হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব আমাদেরকে অতিমাত্রায় ভোগাবে। তাই আমাদের জলবায়ুর ক্ষতিপূরন নিয়ে আওয়াজ তুলতে হবে।